ইসলামিক ইনসাইক্লোপেডিয়া রিসার্চ কাউন্সিল

বাড়ি# ৩৫, রোড# ১৭, সেক্টর# ১৪, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ

মোবাইলঃ ০১৭৬৪৪৫১৯৯২, ০১৮২৯৪৫৮৪৮৪, ০১৯০৩৩২৬৬৭১

E-mail: info.ierc22@gmail.com

ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্নাবলীর উত্তরঃ

১। ভাষাবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কী?

উত্তরঃ পদ্ধতিগত ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাই হল ভাষা।

২। সাহিত্যের সংজ্ঞা কী?

উত্তরঃ সাহিত্য হলো একটি শিল্পকর্ম বা চিন্তার শৈল্পিক বর্ণনা যেটা আপনার কাছে বিভিন্ন চিন্তা, কল্পনা ও রূপবিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করে।

৩। ইসলামী সাহিত্যের সংজ্ঞা কী?

উত্তরঃ ইসলামী সাহিত্য হল আধ্যাত্মিক শৈল্পিক বর্ণনা যেটা মানুষকে উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেয়, উন্নত রুচি শিক্ষা দেয়, আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ভালবাসা শিক্ষা দেয়, জ্ঞান-বিজ্ঞান, বিজ্ঞানী, মুসলিম, অমুসলিম, দেশ, কাজ ও জিহাদের প্রতি ভালবাসা শিক্ষা দেয়।

৪। ভাষা ও সাহিত্যের মাঝে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ ভাষাবিজ্ঞান বা ভাষাবিদ্যা ও সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য:

১. ভাষাবিজ্ঞান বা ভাষাবিদ্যা হল ভাষার পদ্ধতিগত গবেষণা ও মানবসংযোগ। আর সাহিত্য হল বিভিন্ন বিষয় যা সাহিত্যকর্মের মৌলকে গবেষণার আকর বানানো।

২. ভাষাবিদ্যা হল বিভিন্ন ক্ষেত্র ও বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। এটা হল বিজ্ঞানভিত্তিক ও বিষয়ভিত্তিক গবেষণা, তবে এতে একক বৈশিষ্ট্যগত বিষয়ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ কম। পক্ষান্তরে, সাহিত্য হল একক বিষয়ভিত্তিক গবেষণার উন্মুক্ত ক্ষেত্র। তবে ভাষাবিদ্যা ও সাহিত্যের গঠনশৈলী নির্ভর করে ভাষার উপর।

৩. ভাষা ও সাহিত্য একই ধরনের মনে হলেও দু’টির মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। ভাষা হল সাহিত্যের একক মৌল। আরেকভাবে বলা যায়, ভাষাই সাহিত্য সৃষ্টি করে। ভাষা হল নানাবিষয়ের ব্যাপক সহাবস্থান। পক্ষান্তরে, সাহিত্য হল একক বিষয়কে বর্ণনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা।

৫। একটি ভাষায় কতটি বিষয় থাকে তথা কয়টি তত্ত্বের সমন্বয়ে ভাষা গঠিত হয়?

উত্তরঃ একটি ভাষায় ১০টি বিষয় থাকে বা ১০টি তত্ত্বের সমন্বয়ে ভাষা গঠিত হয়। 

যেমন- শব্দতত্ত্ব (phonetics), 

ধ্বনিবিজ্ঞান (phonology), 

অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বা গঠনবিদ্যা (morphology), বাক্যগঠন (syntax), 

শব্দার্থবিদ্যা (semantics), 

প্রয়োগতত্ত্ব (pragmatics)। 

এছাড়াও, ভাষা সংক্রান্ত আরো বিষয় রয়েছে। যেমন, মনভাষা বিজ্ঞান (psycho linguistics), সমাজভাষা বিজ্ঞান (socio linguistics), উপভাষা বিজ্ঞান (dialectology), জাতিগতভাষা বিজ্ঞান (ethno-linguistics)।

৬। সাহিত্য পাঠ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সাহিত্য তথা গদ্য ও পদ্য পাঠের বিষয়বস্তু হল, এটা এভাবে পড়বেন যে, এটার বর্ণণার শৈল্পিকতাকে উপভোগ করছেন যেভাবে কবি বা লেখক চেয়েছেন। 

৭। সাহিত্যের ইতিহাস পাঠ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সাহিত্যের ইতিহাস পাঠ হলো সাহিত্যকর্মের নাতিদীর্ঘ বর্ণনা পড়া এবং কবিতায় এককতা, পারস্পারিকতা ও বাহ্যিক শৈল্পিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করা। এবং ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এর মাঝে কী পরিবর্তন এসেছে তা জানা, ইত্যাদি।

৮। সাহিত্যের প্রকারগুলো কী কী?

উত্তরঃ সাহিত্যের নানা প্রকার রয়েছে। যেমন- পদ্য, গদ্য, নাটক, মহাকাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, গদ্য ধরনের পদ্য, ইত্যাদি।

৯। সাহিত্যের মৌল কী কী?

উত্তরঃ সাহিত্যের মৌলসমূহ হল: চিন্তা, কল্পনা, আবেগ-অনুভূতি, সঠিক রুচিবোধ, এবং তা শুদ্ধ ভাষা দিয়ে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে।

১০। পঙক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি অর্থবোধক বর্ণনা বা লাইনকে পঙক্তি বলে। সেটা কবিতার এক লাইনেও হতে পারে আবার কয়েক লাইনেও হতে পারে।

১১। কবিতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বিষয়ে কয়েকটি পঙক্তি মিলে যে রূপ গঠিত হয় তাকে কবিতা বলে। কবিতা মানে হলো, অনুভূতিহীন কোনো বিষয়কে অনুভূতিশীল করে তোলা।

১২। গদ্য প্রকৃতির কবিতা চর্চা কবে থেকে শুরু হয়েছে?

উত্তরঃ ১৮০০ শতাব্দী।

১৩। কাব্য কাকে বলে এবং এটা কত প্রকার ও কী কী?

উত্তরঃ ভাবসমৃদ্ধ সরস রচনাকে কাব্য বলে।আর কয়েকটি কবিতা মিলে হয় কাব্য। কাব্য দুই প্রকার। যথা: কাব্যগ্রন্থ এবং কাব্য উপন্যাস।

১৪। একটি কাব্য উপন্যাসের নাম লিখুন।

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা।

১৫। সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে পদ্য ও গদ্যের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ পদ্য হল, শব্দছন্দে ফুটিয়ে তোলা কথামালা। অথবা, এটা এমন এক ধরন যেখানে কবি তার আবেগ, অনুভূতিকে শব্দছন্দে ফুটিয়ে তোলেন। এটা কল্পনা নির্ভর।

আর গদ্য হল, সাহিত্যিক তার চিন্তাকে পরিকল্পনা ও বর্ণনার ভিত্তিতে ফুটিয়ে তোলেন। এখানে শব্দছন্দ থাকে না।

১৬। বিশ্বে হাজার হাজার ভাষা রয়েছে। একটি আরেকটি থেকে পরিপূর্ণই পৃথক। তবে সকল ভাষাই একটি বিষয়ে এক ও অভিন্ন। উক্ত বিষয়টি কী?

উত্তরঃ সকল ভাষাই অর্থগতভাবে এক ও অভিন্ন।

১৭। প্রতিটি জেলার আঞ্চলিক কথা ভিন্ন ভিন্ন। এই কথ্য তথা আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে কত মাইল পর পর কিছুটা পার্থক্য ও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়?

উত্তরঃ গড়ে ১২ মাইল পর পর আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।

১৮। কতশত বছর পর পর একটি ভাষায় পরিবর্তন ঘটে?

উত্তরঃ ৫০০ বছর।

১৯। বাংলা সাহিত্যে কখন থেকে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে?

উত্তরঃ ১৯০০ শতাব্দীতে।

২০। আরবি ও ইংরেজি ভাষার তুলনায় আজ অবধি বাংলা ভাষায় কীসের অভাব রয়েছে?

উত্তরঃ শব্দের অভাব।

২১। ভাষাবিদদের মতে, কত বছরে একটি বিদেশী ভাষার মৌলিক জ্ঞান অর্জিত হয়?

উত্তরঃ এক বছর।

২২। ভাষাবিদদের মতে, একটি ভাষায় দক্ষ হওয়া অথবা গভীর জ্ঞান গভীর অর্জন করার জন্য কত বছর অধ্যাবসা প্রয়োজন?

উত্তরঃ আট বছর।

২৩। মানুষের বয়স যত বৃদ্ধি পায়, একটি বিদেশী ভাষা শেখা তত কষ্টদায়ক হয়। প্রশ্ন হল, একটি বিদেশী ভাষা কত বয়সের মধ্যে শিখলে তা মাতৃভাষার মত চিন্তাচেতনার সাথে মিশ্রিত হয়?

উত্তরঃ ১০ বছরের মধ্যে।

২৪। একজন ব্যক্তি বড় হয়ে দ্বিতীয় ভাষা শিখে নিজের ভাষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে। প্রশ্ন হল, একজন শিশু নিজের ভাষা কীভাবে শিখে? একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন, হয়ত বলবেন শুনে শুনে, তা নয়, ভিন্ন আরেকটি উত্তর দিতে হবে।

উত্তরঃ মস্তিষ্কের নিউরন একটি শিশুকে ভাষা শিখতে সাহায্য করে, বা আরেকভাবে বলা যায়, একটি শিশু অনুভূতির মাধ্যমে ভাষা শিখে।

২৫। যারা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়েন, তাদেরকে ইতিহাস পড়ানো হয়। প্রশ্ন হল, সাহিত্যের সাথে ইতিহাসের কী সম্পর্ক?

উত্তরঃ একটি জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতি জানা যায় ইতিহাস পড়ার মাধ্যমে। আর সাহিত্য হল সভ্যতা ও সংস্কৃতির আয়নাসদৃশ।

২৬। সভ্যতা ও সংস্কৃতির সংজ্ঞা কী এবং এ দুইয়ের মাঝে পার্থক্য কী, কোনটা আগে এবং কোনটা পরে?

উত্তরঃ সভ্যতা ও সংস্কৃতির সংজ্ঞাঃ

সভ্যতার সংজ্ঞাঃ অনুসৃত সামাজিক নিয়মাবলী যা মানুষকে সৃজনশীল সংস্কৃতি বৃদ্ধিকরণে সাহায্য করে।

সংস্কৃতির সংজ্ঞাঃ আরবদের দৃষ্টিতেঃ কিছু অভ্যাস ও চিন্তা-চেতনা যা একজন মানুষ সমাজ থেকে শিখে। এবং এক সমাজের সংস্কৃতি অন্য আরেকটি সমাজ থেকে পৃথক হয়। আর পশ্চিমাদের দৃষ্টিতেঃ সংস্কৃতি কিছু কলা-কৌশল, বিশ্বাস, চরিত্র, জ্ঞান, নিয়ম শৃঙ্খলা, অভ্যাস ধারণ করে যা মানুষ সমাজ থেকে শিখে।

উভয়ের মাঝে পার্থক্যঃ অনেকের মতেঃ কোনো কিছু সম্পর্কে জানা ও জ্ঞানলাভের প্রতি আগ্রহ হল সংস্কৃতি। আর এটাই হল সভ্যতা সৃষ্টির মূল স্তম্ভ বা ভিত্তি।

আবার অনেকে বলেনঃ কোনো পার্থক্য নেই। একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

অনেকে বলেনঃ সভ্যতা হল বৈষয়িক বিষয়। আর সংস্কৃতি হল আধ্যাত্মিক বিষয়।

অনেকে বলেনঃ সংস্কৃতি হল সভ্যতার বৈষয়িক ও আধ্যাত্মিক একটি অংশ।

এসব হল পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে। প্রকৃতপক্ষে চিন্তা করতে গেলে দেখা যায়,

একঃ সভ্যতা স্থির, কিন্তু সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল।

দুইঃ বলা হয়, তাৎপর্যগত দিক থেকে সভ্যাত ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র দু’টি বিষয়। তবে একটি আরেকটি মুখোমুখী নয়। সভ্যতা গঠিত হওয়ার জন্য সংস্কৃতি হল মূল ভিত্তি।

তিনঃ সভ্যতা হল যা একজন মানুষ থেকে বৈষয়িক দিক থেক প্রকাশ পায়। পক্ষান্তরে, সংস্কৃতি হল আধ্যাত্মিক ও চিন্তাগত দিক।

চারঃ সভ্যতা হল নগরায়ন জ্ঞান যা মানবজাতির বৈষয়িক বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠিত করে। পক্ষান্তরে, সংস্কৃতি হল আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন।

ইসলামী সভ্যতা হল, যা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে, যেখানে কিছু শৃঙ্খলা রয়েছে যা বিশ্বকে সুগঠিত করে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করে।

আর ইসলামী সংস্কৃতি অন্যান্য সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন। ইসলামী সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য হল, এটা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত। এই বৈশিষ্ট্য ওহীর দ্বারা ফুটে উঠেছে যা মানুষকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আনয়নে উদ্বুদ্ধ করে। ইসলামী সংস্কৃতি হল একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কৃতি। এটা ইসলামী সংস্কৃতি হল মানবতার সংস্কৃতি। এটা কোনো বর্ণ-জাত, ভাষা পার্থক্য করে না। এটা একত্ববাদের সংস্কৃতি। এটা উপদেশ প্রদানে উৎসাহিত করে যদি কেউ কারো মাঝে ভুল দেখে সে যেন তাকে উক্ত ভুলের ব্যাপারে সংশোধন করে।

উক্তসব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করতে গেলে সংস্কৃতি আগে এবং সভ্যতা পরে। কারণ, সংস্কৃতিই সভ্যতার গোড়াপত্তন করে। বা আরেকভাবে বলা যায়, সংস্কৃতিই সভ্যতা সৃষ্টি করে।

২৭। আমরা কীভাবে শব্দ তৈরি করি?

উত্তরঃ বাগযন্ত্র দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাসে কম্পন সৃষ্টি করার মাধ্যমে যা শব্দ হয়ে প্রকাশিত হয়।

২৮। অন্যের কথা আমাদের কর্ণ্বে কীভাবে পৌঁছায়?

উত্তরঃ তরঙ্গের মাধ্যমে।

২৯। জাহেলি কবি যুহাইর বিন আবু সুলমা বলেন, যার বাংলা হল,

“বিভুঁইয়ে অনেকে বন্ধু অনুমিত হয় অথচ সে দুশমন

সম্মানিত নয় সে জন যে নিজেকে করে না সম্মান।”

এখানে প্রশ্ন হল, একজন ব্যক্তি নিজেকে কীভাবে সম্মান করবে?

উত্তরঃ সে নিজে এমন কোনো কথা বলবে না এবং এমন কোনো কাজ করবে না যা তার জন্য মানহানীর কারণ হয়।

৩০। সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষণ –শব্দদ্বয়ের মাঝে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সংরক্ষণ হল, একটি বস্তুকে অভ্যন্তরীণ দিক বা নিজ থেকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা। আর প্রতিরক্ষণ হল, বাহ্যিক আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।

৩১। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাঝে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ জ্ঞান হল যেকোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা। আর প্রজ্ঞা হল জ্ঞানের সঠিক প্রয়োগ।

৩২। গরীব একটি আরবি শব্দ। আমরা দরিদ্রদেরকে গরীব বলে আখ্যায়িত করি। গরীব শব্দের অর্থ কী এবং এর সাথে দরিদ্রকে আখ্যায়িত করার সাথে কী সম্পর্ক রয়েছে?

উত্তরঃ গরীব মানে অপরিচিত। আর দরিদ্ররা আমাদের সমাজে অপরিচিত। একজন গরীব ব্যক্তিকে নিজের গ্রামেই অনেকে চিনে না। কিন্তু ধনী ব্যক্তিকে আশপাশের কয়েক গ্রামের লোক চিনে।

৩৩। সূর্যাস্তের সময়কে গোধূলী বেলা বলা হয়। প্রশ্ন হল, উক্ত সময়ের সাথে গোধূলী শব্দের সাথে কী সম্পর্ক?

উত্তরঃ গো অর্থ হলো গরু এবং ধূলী অর্থ হলো ধূলা। সন্ধ্যেবেলা রাখাল গরু নিয়ে ঘরে ফিরে। তখন গরুর খুরের আঘাতে ধূলা উড়ে। সেই কাজের দিকে লক্ষ করে উক্ত সময়কে গোধূলী বলা হয়।

৩৪। বেশি ও বেশী শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ বেশি মানে অনেক, অধিক। আর বেশী মানে কোনো বেশ ধারণ করা। তবে এটা একাকী ব্যবহৃত হয় না। এটা আরেকটি শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ছদ্মবেশী।

৩৫। পানিকে কোমল বলা হয় কেন?

উত্তরঃ পানিকে কোমল বলা হয়, কারণ এটা চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং যেকোনো সূক্ষ্ম স্থানেও ফাঁকফোকর দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।

Share this:

Leave a Comment